allinfobangla.blogspot.com
বালাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি দুরনীতি করেছেন কিনা তা বোঝার জন্য আইন জানার দরকার আছে বলে মনে করি না। কারন প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলের অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা গরীব দুঃখী মানুষের জন্য। এই প্রথম শুনলাম ত্রান তহবিলের টাকা প্রধান বিচারপতি গ্রহন করেছেন। আর একজন সাবেক বিচারপতির ব্যক্তিগত চারিত্রীক গুনাবলী নিয়ে কথা বললে আদালত অবমানননা হয় এটা মনে হয় আমাদের আইন মন্ত্রী একটু বেশিই আইন শেখাচছেন আমাদের। আমি মনে করি কেউ চাকরি থেকে অবসর গ্রহনের পর সে আমাদের মতই সাধারন পাবলিক. তাই আর ১০ জন সাধারন মানুষের ব্যাক্তিতগত বিষয়ে কথা বললে যদি আদালত অবমাননা না হয় তাহলে সাবেক কোন বিচারপতির চরিত্র নিয়ে কথা বললে আদালত অবমাননা হয় কি করে। অর এ বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া একমাত্র সেই ব্যাক্তির দেওয়া উচিৎ যাকে কেন্দ্র করে অভিযোগ উঠেছে। তিনি চুপ করে আছেন কিনতু যারা তাকে অবৈধ কাজটি করতে সহযোগিতা করেছে তারা গলা বাজাচছেন। এ যেন ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না এর মত।
যাই হোক আসল কথাই ফিরে আসি। একজন বিচার পতি যখন চাকরিতে বহাল থাকেন তখন তিনি কিভাবে গরিব ও দুসথ হন তা আমার বুঝে আসেনা। আমার ধারনা উনি মাসে ৮০/৯০হাজার টাকা বেতন ভাতা পেতেন। কিছু কম হলেও হতে পারে। যে ব্যাক্তির মাসিক আয় এত টাকা তিনি কিভাবে গরিব হতে পারেন তা আ গুটি কয়েক ব্যাক্তি জানেন। আমরা সবাই গাধারাম। উনার জটিল কোন ব্যাধি হয়ে থাকলে এবং তা সারাতে অনেক তাকা দরকার হলে উনি যদি দেশবাসির কাছে সাহায্য চাইতেন তাহলে না হয় বুঝতাম উনি দুস্থ।
এছাড়াও উনার একান্তই টাকার দরকার হলে উনি কল্যান তহবিল থেকে সব টাকা নিতে পারতেন। উনি কেন গরিবের টাকা খেলেন তা অবশ্যয় প্রশ্ন সাপেক্ষ। কেউ যদি বলে উনি অন্যায় করেননি তাহলে বলব তা গায়ের জোরে বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বললে আবার আদালত অবমাননার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর সমপাদক মাহমুদুর রহমান জেল খাটায় কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলছে না। আমার জেল হলে হবে মুখ খুললাম দেশের অজপাড়া গা থেকে।
উনি যে বিচার গুলা করেছেন তা নিয়ে কোন কথা আমি বলব না। তবে আগামী দিনে যে এই বিষয়টি টি বিচারালয়ের কাঠগড়াই উঠবে তা আমি বলতে পারি. কারন দেশে এখন অনেক পুরান ঘটনার বিচার শুরু হইছে। তাবে কথা আছে, বিএনপি ঘরানার কোন বিচারপতি যদি অতীতে এই তহবিলের টাকা খেয়ে থাকেন তাহলে ঘটনা বেশি দুর গড়াবে না। আর শেষে সাবেক প্রধান বিচারপতি খাইরুল হক সাহেব কে যে প্রশ্ন টি করতে চায় তা হল আপনি যদিন চাকরি ছেড়ে বিদায় নিয়েছিলেন সেদিন আপনার একাউনটে আপনার সারাজীবনের উপারজিত টাকা ও পেনশন গ্রাচুইটি সব কি শুন্য ছিল? এই পরযায়ে একাউনট শুন্য করে দিয়ে বলবেন যে আমার কোন টাকা নাই তা হবে না। ওই দিন কত ছিল তার হিসাব এর রেকরড অবশ্যয় আছে।