Sunday 17 July 2011

মহেশপুরে বিএনপির হযবরল অবস্থা নেতাকর্মীরা দায়ী করলেন জেলা সভাপতি মসিউর রহমান কে

 To Read In English this news click bellow link
maheshpurnewsbd.blogspot.com
characterbdpolotics.blogspt.com
৩ পরবের ধারাবাহিক রিপোর্ট-০১

শিপন মন্ডল(ফ্রিল্যান্সার), মহেশপুর ঝিনাইদাহ থেকে

এক সময় মহেশপুর ছিল বিএনপির ঘাটি। ১/১১ এর পর সেই ঘাটি ভেংগে তসনস হয়ে যায়। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপি একক ভাবে নিরবাচন করে জাতিয় সংসদ নিরবাচনে জয়লাভ করে। ২০০১ সালে জামায়াতের সাথে জোট করে নিরবাচনে জয়লাভ করে। মহেশপুরে জামায়াতের সাংগঠনিক ভিত খুব মজবুত। ১৯৯১ থেকে এ পয্ন্ত কোন নিরবাচনে তারা জিততে না পারলেও সব সময় তাদের অবসথান ২য়। ৯ম জাতিয় সংসদ নিরবাচনে সারা দেশে বিএনপি জামাত জোট ভিত্তিক নিরবাচন করলেও ঝিনাইদাহ-৩ আসন (মহেশপুর-কোরটচাদপুর) ছিল ভিন্ন। এখানে জামাত বিএনপি আলাদাভাবে নিরবাচন করে। যার ফলে বিএনপির ভরাডুবি হয়। যদিও সারাদেশের প্রতিফলন এখানে ঘটে তবু জামাত তাদের ২য় অবসথান ধরে রাখে। বিএনপি ৩য় অবস্থান লাভ করে এবং আওয়ামীলীগ ১৯৭৫ এর পর প্রথম আসনটি লাভ করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে।

 সাবেক সাংসদ ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সিনিওর সহসভাপতি ও মহেশপুর উপজিলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মাসটার


মহেশপুর বিএনপি নেতৃত্বহীন: ৯বম জাতিয় সংসদ নিরবাচনের পর মহেশপুর বিএনপি কর্ণধার সাবেক ৪ বারের নিরবাচিত জাতিয় সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় বিএনপি এর সদস্য, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি, এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মাসটার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় দলতি নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে। তার অসুস্থতার সুযোগে দলে তৈরি হয় দুট গুরুপ। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সমপাদক মসিউর রহমান এর আশিরবাদ পুস্ট শাহজামান মোহন, জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা ও কন্ঠশিল্পী মনির খান এবং সাবেক পৌর মেয়র আযিযুল হক খান হক সাহেবের নেতৃত্বে চলে একটি গুরুপ।যাদের তৃণমুলের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। অপর দিকে সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম মাসটারের আশিরবাদে বর্তমান পৌর মেয়র এডভোকেট আমিরুল ইসলাম খান চুননু, আশরাফুল হক মোললা(পচা মোললা) ও দাউদ হোসেন এর নেতৃত্বে চলে আরেকটি গুরুপ । বিগত পৌর নিরবাচন কে কেন্দ্র করে গুরুপ প্রকাশ্যে চলে আসে। বিভিন্ন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মসিউর রহমান তার পছনদের ব্যাক্তদের দিয়ে কমিটি গঠন করেন। যার ফলে তৃণমুলের নেতা করমিরা বিভক্ত হয়ে পড়ে। বরতমানে পৌর কমিটি ২ ভাগে বিভক্ত। এক গ্রুপের সভাপতি আশরাফুল হক মোললা এবং সাধারন সমপাদক এড: আমিরুল ইসলাম খান চুননু। এই কমিটি জেলা কমিটি থেকে অনুমোদিত হয়নি। অপর গুরুপের সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র আযিযুল হক খান হক সাহেব এবং সাধারন সমপাদক সাবেক কমিশনার সাইপুল ইসলাম। এটা জেলা কমিটি অনুমোদিত গ্রুপ। সমপ্রতি অনুষ্ঠিত পৌর নিরবাচনে বিএনপি থেকে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। একজন কেন্দ্র মনোনিতো প্রার্থী আযিযুল হক খান হক সাহেব তার বিরুদ্ধে যুদদ অপরাধের গন্ধ আছে। বয়স ১০০ বছরের বেশি। অপরজন এড: আমিরুল ইসলাম খান চুননু. নিরবাচনের মুহুরতে তাকে দল তেকে বহিষ্কর করা হয়। তিনি ছিলেন থানা বিএনপি সভাপতি সহিদুল ইসলাম মাষ্টটারের মনোনিত প্রার্থী। মহেশপুর পৌর এলাকা আওয়ামিলীগের ঘাটি। সেই ঘাটি ভেংগে চুননু তুমুল প্রতিদ্বনদিতা করে নিবাচনে জয়লাভ করে। যার ফলে গ্রুপিং এখন তুংগে।এ ব্যপারে মহেশপুরের তৃনমুলে নেতা কর্মীদের কাছে জানতে চাইলে  জানা যাই মহেশপুর পৌর বিএনপির তে যারা লাইসেনস দারি নেতা তিরিনমুলের সাতে তাদের কোন সমপরক নেই।যে কারনে পৌর মেয়রের নেতৃত্বে প্রত্যেক ওয়ারডে আলাদা কমিটি করে দল কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই প্রতিবেদক কয়েকটি ওয়ারডের বিএনপি নেতাকরমিদের কাছে অনুমোদিত কমিটির নেতাদের নাম জানতে চাইলে ২ নং ওয়ারডের সভাপতি হাফিজুর রহমান (বিদরোহি গুরুপ) বলেন একমাতরো আললাহ মাবুদ ছাড়া তাদের কেউ চিনেনা। যার প্রতিফলন ঘটেছে এবারের পৌর নিরবাচনে। দলের এ অবস্থা কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন কেন্দ্রীয় নেতা মসিউর রহমান প্রতিশো্ধ নেওয়ার জন্য সহিদুল ইসলাম মাস্টারের  কোন লোককে কমিটিতে রাখেনি। কিসের পতিশোধ জানতে চাইলে বলেন উনি মন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন কিনতু মাস্টারের আপততির কারনে হতে পারেননি বলে ওনার ধারনা।


 সাবেক সাংসদ কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান

সমস্ত অভিযোগের আলোকে কেন্দ্রীয় বিএনপি সাংগঠনিক সমপাদক ও জেলা বিএনপি সভাপতি মশিউর রহমানের কাছে ৫ টি প্রশ্ন  জিজ্ঞাসা করে maheshpurbnp jhenaidah id মাদ্ধ্যমে মেইল পাঠানো হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

1 comment:

  1. বাংলা চটি গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
    http://desihorny.blogspot.com

    ReplyDelete