স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওই সংসদ সদস্যের নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে নাসিরের পাঠানো প্রতিবেদন পত্রিকায় ছাপা হওয়ায় এমপির ক্যাডাররা তার ওপর চড়াও হয়।
আহত নাসির বাংলানিউজকে জানান, বুধবার দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় ‘মহেশপুর বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কলেজ সরকারিকরণের নামে নিয়োগ বাণিজ্য, কলেজের উন্নয়নের কথা বলে ৮০ লাখ টাকা গ্রহণ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদে ক্ষুব্ধ হন এমপি চঞ্চলের লোকজন।
তিনি আরও জানান, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তিনি নিজ কর্মস্থল মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছিলেন।
নাসির ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি করেন।
এ সময় স্থানীয় এমপির ক্যাডার হিসেবে পরিচিত লিটন, নাসির, ইন্তাজুল খাঁসহ ৫/৭ জন এসে তাকে গালিগালাজ করে এবং সংবাদ প্রকাশের কৈফিয়ৎ জানতে চায়।
একপর্যায়ে তারা বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নাসিরের বাম হাত ভেঙে দেয়।
তাকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার পর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মহেশপুর থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মহেশপুরের সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল বলেন, ‘সাংবাদিককে মারপিটের ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’
তবে যাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তারা তার দলের নেতাকর্মী বলে স্বীকার করেন সংসদ সদস্য।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা করেননি কেন জানতে চাইলে সাংবাদিক নাসির বলেন, ‘মামলা তো দূরের কথা, আমি তো ঘরের বাইরেই বের হতে পারছি না।’
কারণ, এ ঘটনার পর তাকে আবারো হাত পা-ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান নির্যাতিত সাংবাদিক।
No comments:
Post a Comment