Tuesday 19 July 2011

মহেশপুরে বিএনপির কোন করমসুচি পালিত হয়না যে কারনে- 02

click here

http://characterbdpolitics.blogspot.com/

(ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে শিপন মন্ডল ফ্রিল্যানসার)

বর্তমানে মহেশপুরে কেন্দ্র ঘোষিত কোন করমসুচি পালিত হয় না। যে কোন করমসুচি পালিত হয় সাধারনত উপজেলা শহরে। আর সেই উপজেলাই যদি পৌরসভা থাকে তাহলে করমসুচি পালনের ক্ষেত্রে অগ্রনি ভুমিকা পালন করার কথা পৌর কমিটির। কিনতু মহেশপুরে পৌর কমিটি নিয়ে চলছে নানা রকম নোঙরামি। পৌর কমিটির সভাপতি আযিযুল হক খান ১০০ বছরের বেশি বয়সের বৃদ্ধ। আসলে তিনি বিএনপি করেন কিনা এমন সনদেহ ও আছে নেতা করমিদের ভিতর। সাধারন সমপাদক সাইপুল ইসলাম কে তেমন কেউ চিনেনা। এছাড়াও তিনি রাজনিনিতিতে অদক্ষ বলে জানা গেছে।ওয়ার্ড পরযাএর নেতা করমিদের সাতথ বিনদু মাতরো যোগাযোগ নেই তাদের। এমন কি কমিটির এক সদস্য আর এক সদস্যকে চিনেনা। কারন কমিটি হয়েছে ঘরে বসে। জেলা কমিটি অনুমোদন করেছে মাত্র। এ বেপারে পৌর বিএনপি সভাপতি আযিযুল হক খানের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন মনতব্য করতে অসিকৃতি জানান। কেন্দ্র কোন কর্মসুচি দিলে তা পালন করার বিনদু মাত্র আগ্রহ তাদের মদ্ধ্যে দেখা যাই না। তারা সরকারি দলের সাথে আতাত করে চলেন বলে জানালেন ৯ নং ওয়ারডে যুবদল বিদরোহী গুরুপের সভাপতি অমেদুল ইসলাম খান। তার প্রমান দিলেন এভাবে, তারা কোন ঘরোয়া বৈঠক করলে সেখানে সরকারি দলের সমরথন থাকে। কোন হামলা হয়না। অন্য দিকে বিদরোহী গুরুপ কোন করমসুচি পালন করতে চাইলেই সেখানে সস্বস্ত্র হামলা ও ১৪৪ দারা দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার বাড়ীর ইসুতে যে হরতাল ছিল সেটই এর প্রমান বলে জানালেন দলের নেতা করমিরা। অন্য দিকে বিদরোহি গুরুপ তাদের নেতরিততে কোন আনদোলন করমসুচি পালন করতে রাজি নয়। কারন হিসাবে জানা গেল যারা বিএনপিকে মন পরান দিএ ভালবাসে তাদের কে  কমিটির কোন যায়গায় তে রাখা হয়নি। প্রচন্ড বিরোধিতা সততেও অগ্রহন যোগ্য বিতরকিত দেরকে সভাপতি করা হয়েছে এবং জনপ্রিও নেতাদের দল থেকেই বাদ দেয়া হয়েছে। বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের কোন কমিটিতে এই গুরুপের কাওকে এই কমিটিতে রাখা হয়নি।  নেতা করমিরা আরো বলেন আমরা আলদা ভাবে প্ররথি দিএ পৌর নিরবাচনে মেওর পদে জয়লাভ করার পরও দলকে সংগঠিত করার কোন প্রয়াস জেলা নেতাদের ভিতর নেই। যেহেতু আমরা দলের কোন পদে নেই তাই কোন করমসুচিও আমরা পালন করতে পারসিনা। আর জারা পদে আসে তারা মনে প্রানে বিএনপি করেনা বলেই করমসুচি পালিত হয়না। আর আমাদের ডাকার লোকই তো নেই। কথা গুলো এভাবে বললেন মহেশপুর পৌরযুবদলের বিদরোহি গুরুপের যুগনো আহবায়ক নজিবুদদৌলা নাসের। তিনি আরো বলেন সমপ্রতি যুবদলের যে কমিটি জেলা থেকে পাশ করে দেওয়া হয়েছে তা রুচিতে আনা যাই না। জেলা থেকে যে কমিটি পাশ করে দেওয়া হয়েছিল তাও তারা ঘসামাযা করে পরিবরতন করেছে। এ বেপারে পৌর মেওর ও পৌর বিএনপির বিদরোহি গুরুপের সাধারন সমপাদক এডভোকেট আমিরুল ইসলাম খান চুননু কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন আমি দল থেকে বহিষ্কৃত। করমসুচি কিভাবে পালন করব। আমি জেলা বিএনপির সদস্য ছিলাম তাও হরন করা হয়েছে। দলতো আমাকে বলেনা করমসুচি পালন করতে। তাছাড়া তৃনমুলের নেতা করমিরা কেউ চাননা তাদের সাথে (অনুমোদিত কমিটি) করমসুচি পালন করতে।  আমি নেতা করমিদের মতের বিরুদ্ধে জেতে পারিনা। কারন তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনেই  দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরও মেওর পদে জয়লাভ করেছি। তাছাড়া একটু দেখা যাক তথাকথিত আসল বিএনপি কি করে। এ বেপারে সাবেক সাংসদ ও থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মাসটারের কাসে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার অসু্স্থতার সুযোগে সারথাননেসি মহল দলে বিভেদ তৈরি করেসছ। বেশির ভাগ সময় ঢাকাই থাকতে হয় বলে চক্রন্তকারিরা এসব করে বেড়াচ্ছেন। আসা করি সুস্থ হয়ে দলকে পুরবের অবসথানে নিয়ে যাব।

মহেশপুরে বিএনপির এমন বিভেদ কেন তা অনুসনধানে বেরিএ আসে রাজনিতির জটিল হিসাবের কাহিনি। আর তা হল ঝিনেদা জেলার দুতট আসনে জামাতের অবসথান শকত।  ঝিনেদা সদর আর ঝিনেদা-৩ (মহেশপুর-কোরটচাদপুর)। বিগত দুটি নিরবাচন জোট ভিততিক হওআই জামাত বিএনপির নিকট এই দুটি আসন দাবি করে। ২০০১ সালে বিএনপি তাদের দাবি না রাখাই ২০০৮ সালে তারা একি দাবি করে। এ খেতরে তারা দুটি আসনি নেওআর জন্য জোর দাবি করতে থাকে। শেষ পরযনত মশিউর রহমান নিজের আসন রক্ষা করতে ঝিনেদা-৩ (মহেশপুর-কোরটচাদপুর) আসনটি জামাতের দেওআর সুপারিশ করেন বলে গুনজন আছে। কিনতু মহেশপুরের নেতাকরমিরা তা মেনা না নিলে শেষ পরজনতো ঝিনেদা-৩ (মহেশপুর-কোরটচাদপুর) আসনে জামাত বিএনপি আলাদা নিরবাচন করে। এতে দুতট দলই হেরে যাই। ওপরদিকে ঝিনেদা সদর আসনে জোট ভিততিক নিরচন করেও মশিউর রহমান হেরে যাই। এ দিকে জামাতের তর্ফ থেকে বল হচছে যে আগামি নিরবাচন যদি জোত ভিত্তিক হয় তাহলে অবশ্যয় তাদের একক ভাবে একটি আসন দিতে হবে। আর তা না হলে তারা ঝিনেদার দুটি আসনেই আলাদা প্রারথি দিবে। আর এই মারপেচের হিসাব থেকে নিজে কে বাচাতেই মসিউর রহমান মহেশপুরে বিএনপিতে কোনদল সৃষ্টি করে রেখেছেন। এবং যারা বরতমানে বিএনপির কমিটিতে আছে তাদের ইচছা ঝিনেদা-৩ (মহেশপুর-কোরটচাদপুর) আসনটি জামাত পাক। আর এর প্রমান তারা ২০০৮ সালের বিএনপির কেন্দ্রীও নমিনেশন বোরডে রেখে এসেছেন। সে সময় বোরড এই গুরুপের মতামত জানতে চইলে তারা বলেন আমরা আললার আইন চাই সত লোকের শাসন চাই যা জামাতের দলিও স্লোগান। আর এখন কমিটি তে সব তারা। আগামি নিরবাচন পরযন্ত এই কমিটি থাকলে এবারও একই কথা বলবে।

No comments:

Post a Comment